Saturday, April 20, 2019

ভোট দিতে পারবেন না বলিউড তারকারা


নির্বাচন সমবসময়ই উৎসব নিয়ে আসে। ভোটের রায়ে প্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দেয়া হয়। তাই সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ভোটে অংশ নেন। নিজের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে মত প্রদান করেন।

তবে ভারতের চলমান লোকসভা নির্বাচনে বেশ কয়েকজন তারকা ভোটে অংশ নিতে পারবেন না। এমনটাই খবর প্রকাশ করছে দেশটির গণমাধ্যম।ভারতে এখন চলছে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ। বাকি আরও ছ’দফা। এরইমধ্যে জানা গেল, আলিয়া ভাটসহ আরও কয়েকজন জনপ্রিয় তারকারা ভোট দিতে পারছেন না পছন্দের প্রার্থীকে।

তাদের মধ্যে অক্ষয় কুমার, দীপিকা পাডুকোনের মতো তারকারাও রয়েছে। কিন্তু কী সেই কারণ? জবাবে জানা গেল একেক তারকার বৈচিত্রময় সমস্যার কথা।

বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সিনেমায় দেশপ্রেমিকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অক্ষয় কুমার। এছাড়া অনেক সময় দেশের সেনাবাহিনীর পাশে দাঁড়াতেও দেখা গিয়েছে তাকে। কিন্তু দেশপ্রেমিক অক্ষয় কুমার ভোট দিতে পারবেন না এবার। পাঞ্জাবের অমৃতসরে জন্ম হলেও এই অভিনেতার আছে রয়েছে কানাডার পাসপোর্ট। আর সেই কারণেই ভোট দিতে অক্ষম তিনি।

দীপিকা পাড়ুকোনেরও রয়েছে এমন সমস্যা। প্রকাশ পাডুকোনের মেয়ে এবং বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাডুকোনের জন্ম ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে। তার রয়েছে ড্যানিশ পাসপোর্ট। এজন্য তারও ভোট দেওয়ার অধিকার নেই ভারতে।

আমির খানের ভাগ্নে তথা বলিউডের অন্যতম অভিনেতা ইমরান খান। তিনিও ভোট দিতে পারবেন না। কারণ আমেরিকার নাগরিক তিনি। সেখানকার পাসপোর্ট রয়েছে তার।

ক্যাটরিনা কাইফও ভোট দিতে পারবেন না ব্রিটিশ নাগরিক হওয়ায়। বলিউডের আরেক অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজও অংশ নিতে পারবেন না চলতি লোকসভা নির্বাচনে। কারণ এই অভিনেত্রীর জন্ম বাহারিনে। শ্রীলঙ্কায় জন্মেছেন তার বাবা। জ্যাকলিনের মা আবার মালয়েশিয়ার নাগরিক।

জন্মসূত্রে আলিয়া ভাটও ব্রিটিশ নাগরিক। তার কাছে ব্রিটেনের পাসপোর্ট আছে। দেশের সংবিধান অনুযায়ী দৈতনাগরিকত্বের অধিকারী কোনো ব্যক্তি সাধারণ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন না। সেকারণেই ইচ্ছে থাকলেও ভোট দিতে পারবেন না আলিয়া।

বাড্ডায় সড়ক অবরোধে পোশাক শ্রমিকরা


নায্য পাওনা আদায়ে সড়ক অবরোধ করে রেখেছে পোশাক শ্রমিকরা। রাজধানীর বাড্ডা লিংক রোড়ের সড়ক ৩০ মিনিট অবরোধ করে রাখেন বেতনের দাবিতে পোশাক শ্রমিকেরা। সড়ক অবরোধের কারণে রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।

শনিবার দুপুর পৌনে ১২টা থেকে সোয়া ১২টা পর্যন্ত বাড্ডা লিংক রোড়ের মধ্যে বাড্ডার দিকের সড়কের এক পাশ অবরোধ করে রাখেন স্টার গার্মেন্টস প্রাইভেট লিমিটেডের প্রায় ৮০০ কর্মী। পরে পুলিশের আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলে নেন।

তাদের দাবি, প্রতি মাসে গার্মেন্টস মালিক তাদের পাওনা বেতন দিতে গড়িমসি করেন। প্রতি মাসের বেতন নির্ধারিত তারিখে পরিশোধ করছেন না। তাই তারা বাধ্য হয়ে আজ সড়ক অবরোধ করেন। এদিকে আজ বেতন দেয়ার কথা থাকলেও গার্মেন্টস মালিকপক্ষের কেউ আসেননি।

অবরোধের সময় নতুন বাজার থেকে মতিঝিল যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ী মালিক লাল। তিনি তখন বলছিলেন, শ্রমিকদের সড়ক অবরোধের কারণে ৩০ মিনিট ধরে কোনো গাড়ি চলছে না। জরুরি কাজে মতিঝিল যাচ্ছি। কিন্তু রাস্তায় অবরোধ, আটকে আছি।

পথযাত্রী রূপাও বলছিলেন, অবরোধের কারণে রাস্তায় চলা খুব কঠিন হয়ে গেছে।

গার্মেন্টস কর্মীরা বলছেন, চলতি বছরের মার্চ মাসের বেতন দিতে মালিকেরা গড়িমসি করছেন। শুধু তাই নয় প্রায় ৫ বছর ধরে মালিকেরা প্রতি মাসে নিয়মিত বেতন দিতে গড়িমসি করে আসছেন। আজ নয় কাল এভাবে দিনের পর দিন ঘুরাচ্ছেন।

এক গার্মেন্টসকর্মী বলেন, আমরা পেটের দায়ে গার্মেন্টসে চাকরি করি। বেতন নির্ধারিত সময়ে পাই না। আজ মাসের ২০ তারিখ। বাড়ি ভাড়া এখনও দেইনি। মালিকপক্ষ আমাদের বেতন এখনও দেয়নি।

গার্মেন্টসকর্মী সোহেল বলেন, এপ্রিলের ২০ তারিখ চলছে। আমরা এখনও মার্চ মাসের বেতন পাইনি। বেতন না পাওয়ায় বাড়ি বাড়ার টাকা এখনও দিতে পারিনি। খাওয়ার খরচ নেই। ধার করে চলছি। আর পারছি না। তাই আজ বাধ্য হয়ে বেতনের দাবিতে সড়কে নেমেছি।

বাড্ডা থানার পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, স্টার গার্মেন্টসের প্রায় ৮০০ কর্মী বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন। পৌনে ১২টা থেকে সোয়া ১২টা পর্যন্ত তারা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। আমরা তাদের আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেন।

‘প্রতি মাসে বেতন পাওয়া শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার। মালিক তাদের বেতন না দিয়ে ঠিক করছেন না। আমরা মালিকের সঙ্গে বেতনের বিষয়ে কথা বলেছি। মালিক আমাদের নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে বসবেন। আশা করি, ভালো একটা সমাধান হবে',- বলেন তিনি।

অপারেশনে ৯৫ ভাগ ক্লিনিকের আয়ের উৎস সিজার


বাংলাদেশের পরিবারগুলো সন্তান জন্ম দানের ক্ষেত্রে প্রসব সম্পর্কিত বিভিন্ন ব্যয় সবচেয়ে বেশি করে থাকে। 

আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব হেলথ প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টে আইসিডিডিআরবির গবেষণাটি প্রকাশিত হয়।

সেই গবেষণার তথ্য মতে, স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার সুযোগ থাকা জায়গায় সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব হলে প্রতিটি জন্মে গড়ে ২১ হাজার ১২১ টাকা (২৫০ ডলার) ব্যয় হয়। অপরদিকে স্বাভাবিকভাবে জন্ম হলে মাত্র পাঁচ হাজার ৬৯ টাকা (৬০ ডলার) ব্যয় হয়।

বিশ্বব্যাপী ১০ থেকে ১৫ শতাংশ প্রসব সিজারিয়ান বা সি-সেকশনে করানোর সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডাব্লিউএইচও। কিন্তু বাংলাদেশে সেই সীমা ছাড়িয়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে।

দিন দিন সিজারিয়ান অপারেশন বাড়ার জন্য বেসরকারি ক্লিনিকের অর্থলিপ্সা, সরকারি ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু না হওয়া এবং ডাক্তারদের নৈতিকতার ঘাটতিকে দায়ী করছেন গবেষকরা।চলতি বছরে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য হলো- ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা : সবার জন্য সর্বত্র’। এতে আর্থিক কষ্ট ছাড়াই গুণগত মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার আহ্বান জানানো হয় এবং বলা হয়, স্বাস্থখাতে ব্যয়ের ফলে প্রতিবছর প্রায় ১০ কোটি মানুষ চরম দারিদ্র্যের দিকে চলে যাচ্ছে।

আসিডিডিআরবি’র গবেষণায়ও স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় বৃদ্ধির চিত্র উঠে এসেছে। এতে দেখা যায়, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে সিজারের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। বর্তমানে প্রায় ৩১ শতাংশ প্রসব হচ্ছে সিজারের মাধ্যমে।

আইসিডিডিআরবি’র সহযোগী বিজ্ঞানী ও দ্য ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব হেল্থ প্লানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টে প্রকাশিত গবেষণাটির মূল লেখক ডা. আব্দুর রাজ্জাক সরকার বলেন, এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই যে বিত্তবানরা সন্তান জন্মের সময় প্রতি প্রসবে প্রায় ২৮০ মার্কিন ডলার ব্যয় করেন।তবে অপেক্ষাকৃত দরিদ্র পরিবারগুলোও সিজারের ক্ষেত্রে অন্তত ২০০ মার্কিন ডলার ব্যয় করেন,’- যোগ করেন তিনি।

সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ব্যয় বিশেষ করে দরিদ্র পরিবারগুলোর এ ব্যয় বাংলাদেশের জন্য খুবই ভয়ানক একটি ব্যাপার। কারণ, যেখানে সর্বস্তরের জনসাধারণকেই এখনও স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনা যায়নি।২০১৪ সালে বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ (বিডিএইচএস) তথ্যনুসারে, চার হাজার ৫০০টি সন্তান প্রসবের তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

এ প্রসঙ্গে ডা. সরকার বলেন, আমরাও আরও লক্ষ করেছি, যেসব নারীর বয়স ৩৫ থেকে ৪৯ বছরের মধ্য তারা বেশি ব্যয় করছেন এবং আশ্চর্যজনক বিষয় হলো যারা সন্তান জন্মের আগে থেকেই স্বাস্থ্যসেবা নিয়মিত নিয়েছেন এমনকি অনেক উচ্চ শিক্ষিত নারীরাও সিজারে বেশি ব্যয় করেছেন। শহরাঞ্চলে এ চিত্রটি সবচেয়ে বেশি।

তিনি আরও বলেন, সন্তান প্রসবের এ অতিরিক্ত ব্যয়ের বেশিরভাগই আসে পারিবারিক উৎস (আয় ও সঞ্চয়) থেকে। এতে করে ওই পরিবারের জীবযাত্রা ও দৈনন্দিন গৃহস্থালিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
২০১৭ সালে প্রকাশিত বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভে অনুযায়ী, বাংলাদেশে সিজারিয়ান প্রসবের সংখ্যা শতকরা ৩১ ভাগ, যা বাংলাদেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত হারের দ্বিগুণেরও বেশি। তাদের নির্ধারিত হার অনুযায়ী, এই সংখ্যা হতে পারে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ।

নানা কারণে সিজারিয়ানের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রেজাউল করিম কাজল।

প্রাইভেট ক্লিনিকের অর্থের লোভ
কারণগুলো মধ্যে অন্যতম হলো প্রাইভেট ক্লিনিকের অর্থলিপ্সা। এ কারণে বাংলাদেশে সিজারিয়ানের সংখ্যা বাড়ার কথা জানান চিকিৎসক কাজল। ডয়েচে ভেলেকে তিনি বলেন, সিজারিয়ান বাড়ার প্রথম কারণটা কিন্তু অর্থনৈতিক। ৯৫ ভাগ ক্লিনিকের আয়ের উৎস সিজারিয়ান অপারেশন।

বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভে-২০১৪ (বিডিএইচএস)-এর তথ্যানুযায়ী, দেশে হাসপাতাল বা ক্লিনিকে ১০টির মধ্যে ৬টি শিশুরই জন্ম হচ্ছে সিজারিয়ান পদ্ধতিতে। এ ক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ অস্ত্রোপচার হচ্ছে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে। সমাজে সবচেয়ে শিক্ষিত ও সচ্ছল পরিবারের ৫০ শতাংশ শিশুর জন্ম হচ্ছে অস্ত্রোপচারে। প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান এবং সচ্ছল পরিবারে এই হার অনেক বেশি।

সিজারিয়ানের সংখ্যা কমানোর জন্য চিকিৎসকদের বিবেক জাগ্রত করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে ডা. কাজল বলেন, চিকিৎসকদের বিবেক যদি না জাগে, এটা বন্ধ করা যাবে না। আর ক্লিনিকগুলোতে সিজারিয়ান অপারেশনগুলো মনিটরিংও করতে হবে। কেন করল, অন্য উপায় নিয়েছে কি না, সেটা দেখতে হবে। মাসে সে কতগুলো সিজারিয়ান করল কোন ক্লিনিক প্রভৃতি।

একইসঙ্গে সরকারি হাসপাতালে বিশ্বাসযোগ্যতায় আনার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, সরকারি হাসপাতালগুলোতে রেটটা অনেক কম। সরকার চেষ্টা করছে, নার্স রেখে, মিডওয়াইফ রেখে, তাদেরকে প্রণোদনা দিয়ে স্বাভাবিক পথে ডেলিভারি করতে উদ্বুদ্ধ করতে।

ক্লিনিকগুলোর প্রথমবারের ফাঁদে মায়েরা
ক্লিনিকগুলোর ফাঁদে পড়ে কিংবা চিকিৎসকদের অসাবধানতায় প্রথমবার সিজারিয়ান করার ফলে দ্বিতীয় সন্তান জন্মদানের সময় বাধ্য হয়েই আগের পথে হাঁটতে হচ্ছে বলে মনে করেন ডা. কাজল।

‘প্রথমবার যখন কারো সিজারিয়ান অপারেশন করে ফেলে, তখন বাধ্য হয়েই দ্বিতীয়বার সন্তান প্রসবের সময় সিজারিয়ান করতে বাধ্য হচ্ছে ডাক্তাররা। কারণ, যদি প্রসব বেদনার সময় হাসপাতালে সব ধরনের সুবিধা না থাকে, তাহলে দ্বিতীয়বার সিজারিয়ান ছাড়া প্রসবের ঝুঁকি নেয়া যায় না,’- বলেন তিনি।

‘প্রথমবার যেহেতু লাখ লাখ মায়ের ক্ষেত্রে সিজারিয়ান হয়ে গেছে, তখন দ্বিতীয় বাচ্চার ক্ষেত্রেও তাদের সিজার হবে। সে কারণে রেটটা দিন দিন বাড়তে থাকবে। এমন একটি চক্রের মধ্যে পড়েছি আমরা।’

প্রথমবার সিজারিয়ানের পর দ্বিতীয়বার স্বাভাবিক প্রসবে ঝুঁকি ব্যাখ্যা করে ডা. কাজল বলেন, কোনো কারণে প্রসব বিলম্বিত হলে মায়ের জরায়ু ফেটে যেতে পারে, তখন তাৎক্ষণিকভাবে অপারেশন না করলে মায়ের মৃত্যু হতে পারে। এই বিপদের কারণে বিদেশে সিজারিয়ান রোগীকে দ্বিতীয়বার স্বাভাবিকভাবে প্রসবের ঝুঁকি নিলেও সুবিধা না থাকায় বাংলাদেশে নেয়া সম্ভব হয় না।

সবচেয়ে শিক্ষিতদের মধ্যে সিজারিয়ানের হার বেশি
আইসিডিডিআরবির গবেষণায় উঠে এসেছে, ৩৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সি মায়েরা অন্যদের তুলনায় বেশি খরচ করছেন। অন্যদিকে, শহুরে নারীদের মধ্যে যারা শিক্ষিত এবং জন্মদানের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানেন, তারাও এই বেশি খরচের পথই ধরছেন।

মায়েদের মধ্যে প্রসব নিয়ে ভীতি কাজ করাকে সিজারিয়ান বাড়ার কারণ হিসাবে চিহ্নিত করছেন চিকিৎসক কাজল।‘আমাদের মায়েরা রিস্ক নিতে চান না। এ কারণে হাসপাতালগুলোতে প্রসূতি মায়েদের জন্য ২৪ ঘণ্টা একই মানের সেবা থাকতে হবে’,-বলেন তিনি৷

বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে সিজারিয়ান নিয়ে ভয় আছে বলে মনে করেন অনেকে। ‘গ্রামে সবচেয়ে বেশি ভীতি তৈরি হয়েছে। গ্রামের মানুষ আর্থিক দিক দিয়ে অতটা সচ্ছল না। তাই,অনেকে হাসপাতাল বা ক্লিনিকে যান না। তারা বলেন, আমি গেলেই তো সিজার করে দেবে,’ ডয়েচে ভেলেকে বলেন চিকিৎসক কাজল।

Monday, April 15, 2019

৪৫ জনকে নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন


১১ এপ্রিল পত্রিকায় নতুন চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন আটটি  পদে মোট পঁয়তাল্লিশ জনকে নিয়োগ দেবে। সে সব পদের জন্য নারী- পুরুষ উভয়েই আবেদন করতে পারবেন।

যে সব পদে নিয়োগ দেওয়া হবে সে সব পদের নাম

উচ্চমান সহকারী, ইলেকট্রিশিয়ান, মেশন, ফ্রিজ মেকানিক, ডিজেল মেকানিক, পাম্প ফিটার, অফিস সহায়ক, হেলপার।

সর্বমোট পদসংখ্যা

আটটি পদে মোট পঁয়তাল্লিশ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

আবেদনের জন্য যোগ্যতা

যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠান থেকে যেকোনো বিষয়ে স্নাতক পাস/সমমান ডিগ্রিধারীসহ উচ্চমাধ্যমিক/মাধ্যমিক ও অষ্টম শ্রেণি পাস প্রার্থীরা বিভিন্ন পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

বয়স নির্ধারণ : সব পদে আবেদনের জন্য ১ মার্চ, ২০১৯ পর্যন্ত প্রার্থীর বয়স ন্যূনতম ১৮ থেতে অনূর্ধ্ব ৩০ বছর হতে হবে।

বেতন স্কেল

বিভিন্ন পদের জন্য বেতন স্কেল নিচের বিজ্ঞপ্তিতে বিস্তারিত দেওয়া আছে।

যে ভাবে আবেদন করবেন 

আবেদন করার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে আবেদন করতে হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনের এই ঠিকানায় গিয়ে  (http://bsc.teletalk.com.bd) আবেদনের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এ ছাড়াও আবেদনের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ আছে।

আবেদন করা যাবে 

অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন শুরু হবে ১৫ এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১টা থেকে এবং আবেদন ও ফি প্রাদানের শেষ সময় আগামী ৬ মে, ২০১৯ রাত ১২টা পর্যন্ত।

সূত্র : কালের কণ্ঠ, ১১ এপ্রিল, ২০১৯।

নিচে বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া আছে। ...

গণধর্ষণের শিকার হলেন কিশোরী,পহেলা বৈশাখে প্রেমিকের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে


এই পহেলা বৈশাখে চট্টগ্রামে প্রেমিকের সাথে ঘুরতে গিয়ে পালাক্রমে গণ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক কিশোরী।  চট্টগ্রাম নগরে রবিবার পহেলা বৈশাখের সকালে ঘুরার সময় তাকে প্রেমিক ও তার বন্ধু মিলে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ উঠেছে ।

ভুক্তভোগীর কিশোরীর পরিবার অভিযোগ জানিয়েছেন রবিবার পহেলা বৈশাখ বন্ধুদের সঙ্গে চট্টগ্রাম শহরে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।

অপর দিকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঐ কিশোরীকে রক্তাক্ত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করে তার পরিবার। অদ্য রাত পৌনে ১০টায় এই কিশোরী অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়।

চিকিৎসকরা জানান, ওই কিশোরীর প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তার প্রচুর রক্তের প্রয়োজন। এখন সে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছে।

সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ধর্ষিতা কিশোরী ও প্রতারক প্রেমিক রিপন পটিয়ার বিসিক শিল্প এলাকার আরেফিন টেক্সটাইলের কর্মী। একইসঙ্গে একই টেক্সটাইলে কাজ করার সূত্র ধরে তাদের পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে বিশ্বাসের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

নববর্ষ উদ্‌যাপন করতে ঐ কিশোরীকে পটিয়া থেকে চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় প্রতারক রিপন। রোববার সকালে কিশোরীকে নিয়ে রিপন পটিয়া থেকে চট্টগ্রাম শহরে আসে। রিপন শহরে এক বন্ধুর বাসায় কিশোরীকে নিয়ে যায়।

এই কিশোরী এর আগে কখনো চট্টগ্রাম আসেনি। তাই শহরের ঠিক কোন স্থানে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেটি সে জানাতে পারেনি। চট্টগ্রাম নগরীর ঐ বাসায় আগে থেকেই ধর্ষণের পরিকল্পনা সাজিয়ে রাখে রিপন ও তার বন্ধু। কিশোরীকে বাসায় নিয়ে যাওয়ার পর তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে দুই পিশাচ।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক মো. আমির ওভার ফোনে দি বাংলাদেশ টুডে কে জানান, সন্ধ্যার সময় পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। রিপন ও তার বন্ধুরা তাকে ধর্ষণ করেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।

রাত সাড়ে ১০টার দিকে চমেক হাসপাতালে ধর্ষিতার মা বলেন, ব্যাগ কেনার কথা বলে সকালে আমার মেয়ে ঘর থেকে বের হয়। সন্ধ্যায় খবর পাই মেয়ের এই অবস্থা। দুই পিশাচ আমার মেয়ের সঙ্গে এমন করেছে।

এখন আমার মেয়ের অবস্থা ভালো না, প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আমি আমার নাবালক মেয়ের সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই অন্যায়ের বিচার চাই। ধর্ষিতার ভাই দিদার জানান, তার বোন পটিয়া আরেফিন টেক্সটাইল গার্মেন্টসে চাকরি করেন।

সহজ সরল বোনকে ফুসলিয়ে প্রেমের নামে ছলনা করে পটিয়া উপজেলার কচুয়াই গ্রামের রিপন নামে এক প্রতারক। ধর্ষক রিপন (২৬) একজন গাড়ি চালকের সহকারী বলে জানিয়েছে দিদার।

তিনি বলেন, রবিবার বর্ষবরণ অনুষ্ঠান দেখার নামে তার বোনকে শহরে নিয়ে রিপনের এক বন্ধুসহ তার বোনকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বর্তমানে তার বোনের অবস্থা ভালো নয়।

প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে জানিয়ে তার বোন একটু সুস্থ হলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানায় কিশোরীর ভাই দিদার।

পটিয়া থানার ওসি তদন্ত হেলাল উদ্দিন ফারুকী সাংবাদিকদের বলেন, তারা মৌখিকভাবে ১ কিশোরী ধর্ষণের খবর পেয়ে থানা থেকে হাসপাতালে ফোর্স পাঠানো হয়।

লিখিত অভিযোগ পেলে ধর্ষকদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানালেন ওসি তদন্ত হেলাল উদ্দিন ফারুকী।

আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশে আলোচিত মডেল সানাই জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে যেতে চান


আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশের ফলে আলোচনায় আসে আলোচিত মডেল সানাই মাহবুব। সম্প্রতি সানাই মাহবুবকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন বিভাগ আটক করে।

পরে তিনি আর এরকম আপত্তিকর ভিডিও ছড়াবেন না এমন মুচলেকা দিয়ে  ছাড়া পান সেখান থেকে।

আর এই ধরণের এ ঘটনার পর থেকে সানাই মাহবুব অনেকটা ঘরকুনো হয়ে গেছেন। তিনি নাকি নিরাপত্তাহীনতায় আছেন তাই কোথাও যেতে পারছেন না। এমনকি পহেলা বৈশাখেও তিনি বের হতে পারেননি।

তবে তার ইচ্ছা একটু কোলাহলের বাইরে গিয়ে সময় কাটানোর। শুটকি দিয়ে পান্তা ভাত খাওয়ার। একারণে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে চান। সেখাে গিয়ে তিনি শুটকি দিয়ে বটতলায় বসে পান্তা খেতে চান। রোববার রাতে তিনি তার ফেইসবুকে এমনটাই ইচ্ছা পোষন করেছেন।

তিনি তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘অধিকাংশ মানুষই আমাকে ফেসবুক পেইজের মেসেঞ্জারে বলছে, মেলায় যাওনি? মঙ্গল শোভাযাত্রায় যাওনি? কিভাবে বলব আমি তাদের, কি পরিমাণ মিস করেছি আমি মেলা আর শোভাযাত্রা!

আমার এতো সিকিউরিটি প্রব্লেম হয় যে বাসার নিচেও একা বের হতে পারি না! অনেক বায়না করেও যেতে পারলাম না শোভাযাত্রায়.. যেতেই দিল না, না মা, না বাবা না সে! সবাই বলল, না তোমার যাওয়া যাবে না? কিন্তু আমি তো সবার সাথে শোভাযাত্রার অংশ হতে চেয়েছিলাম আগের মতোই!

কি আর করার অগ্যতা সেজেগুজে প্রতিদিনের মতোই কোনো রেস্টুরেন্ট কিংবা 5 star buffe তে ডিনার! বোরিং, জাস্ট বোরিং!

আচ্ছা কে কে জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটিতে পড়? আমি জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটিতে যেতে চাই, বটতলায় বসে ভাত খেতে চাই শুটকি মাছের ভর্তা দিয়ে..।’

কিন্তু এদিকে বরাবরের মতোই ফেইসবুক পোস্টের পর সানাই মাহবুবকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য শুরু হয়েছে।

নববর্ষে বুটেক্সে নেমে এসেছিল রঙ্গের মেলা


সব গ্লানি আর বিষন্নতা ভুলে নতুন উদ্যমে নতুন বছরকে নতুন ভাবে বরণ করে নিতে নতুন আয়োজনে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) এ নববর্ষ পালিত। ১৪২৬ বঙ্গাব্দের প্রথম দিনকে বরণ করে নিতে অনেক আগে থেকেই নেওয়া হয় প্রস্তুতি।

“আর্টেক্স” ক্লাবের উদ্যোগে বুটেক্স ক্যাম্পাসকে সাজানো হয় আবহমান বাংলার গ্রামীণ আবহে। আর তাদের আয়োজনে আয়োজিত হয় ক্যাম্পাসে দেয়ালিকা লিখার প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতা।

বিভিন্ন স্থানে আল্পনা আঁকা হয় বুটেক্স ছাত্রলীগের উদ্যোগে।

সকাল ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বের করা হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা।

মঙ্গল শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবুল কাশেম, বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ, বুটেক্স ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকসহ নেতা-কর্মীরা, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীবৃন্দ।

তারপর বাঙ্গালীর চিরায়ত প্রথানুযায়ী চলে পান্তা খাওয়ার উৎসব।

এদিন যেন ক্যাম্পাস হয়ে উঠেছিল প্রাক্তন আর বর্তমান শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা। উৎসবের আমেজে কমতি ছিলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও।

সবাই বাঙ্গালীর চিরায়ত পোশাক পাঞ্জাবি আর শাড়ি পড়ে যেন একাকার।এরপর একাত্তর সাংস্কৃতিক সংঘের আয়োজনে আয়োজিত হয় এক জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।